মুরাদ বলেন, “১৭ অক্টোবর সকালে টেকনাফ থেকে রওনা দিয়ে গতকাল রোববার সীতাকুণ্ডে পৌঁছেছি। সেখানে বাড়বকুণ্ড এলাকায় এক পরিচিতজনের বাড়িতে রাত কাটিয়ে আজ সকালে আবারও যাত্রা শুরু করেছি। পথে যত জায়গায় যাচ্ছি, মানুষকে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে জানাচ্ছি। যদি মাত্র ১০ জন মানুষও আমাদের প্রচারণা থেকে সচেতন হন, সেটাই আমাদের জন্য সাফল্য।”
সীতাকুণ্ড পৌর সদরে মুরাদের কাছ থেকে প্রচারপত্র পাওয়া স্থানীয় বাসিন্দা মো. সবুজ বলেন, “এমন একটি মারাত্মক রোগের কথা আগে জানতাম না। এখন জানলাম, আর অন্যদেরও জানাব।”
যাত্রাপথে পরিচিতজনদের বাড়িতে রাত কাটানোর কথাও জানান মুরাদ। তিনি বলেন, “ট্যুর গ্রুপ ও রক্তদাতা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিচিতজন আছেন। তাঁদের কাছেই রাত কাটাচ্ছি। তবে কোনো এলাকায় পরিচিত কেউ না থাকলে হোটেলেই থাকব।”
‘থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ক্যাম্পেইন বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে এর আগেও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন হাসান মুরাদ। সংগঠনটির প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শাহেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, “হাসান মুরাদ ও মাহমুদুলরা খুব উদ্যমী তরুণ। তারা দুর্যোগে ও রক্তের প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সারা দেশে সচেতনতা তৈরির জন্য তাঁদের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।”
থ্যালাসেমিয়ার বিস্তার নিয়ে তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ থ্যালাসেমিয়া বাহক। পার্বত্য এলাকায় সবচেয়ে বেশি—প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ বাহক, আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল। যদি এখনই সচেতনতা না বাড়ে, পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি, যাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনই বাহক না হন।”
