
সরকার শিগগিরই জুলাই জাতীয় সনদ বা সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এবং সেই সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে। এদিকে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়ায় আবার পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি মনে করছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির এখতিয়ার সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের নেই এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অযৌক্তিক। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল নভেম্বরের মধ্যে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে।
নতুন খসড়ায় জোটগতভাবে নির্বাচন হলেও প্রার্থী নিজ দলের প্রতীকে বা জোটের অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন। এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, জোটভিত্তিক নির্বাচনে সব প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে অংশ নিতে হবে। বিএনপি ও ছোট দলগুলো এই বিধানের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিল।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দিয়েছে, সনদ সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো গণভোটের মাধ্যমে পাস হলে আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।