
শনিবার (১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাগচি বলেন,
“আমরা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে কখনও আলোচনা করব না, এবং পরমাণু সমৃদ্ধকরণও বন্ধ হবে না। যুদ্ধ করে যা অর্জন করা যায়নি, রাজনৈতিক চাপ দিয়েও তা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের সরাসরি আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই, তবে পরোক্ষ সংলাপের মাধ্যমে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে।
চুক্তি প্রসঙ্গে আরাগচি জানান, “আমাদের পরমাণু প্রকল্পের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল ধারণা দূর করা জরুরি। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেসব শর্ত দিয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।”
ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা এখন সর্বোচ্চ প্রস্তুত। ইসরায়েল যদি আবারও আক্রমণ করে, ফলাফল হবে ভয়াবহ।”
আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রসির তথ্যমতে, বর্তমানে ইরানের কাছে ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের পরিমাণ ৪০০ কেজি। বিশুদ্ধতার মাত্রা ৯০ শতাংশে পৌঁছালে তা দিয়ে একাধিক পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব।
গত জুনে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ক্ষতি হলেও জাতিসংঘ নিশ্চিত করেছে—ইউরেনিয়ামের কোনো ক্ষতি হয়নি। ইইউ-এর সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের ইসলামপন্থি সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।
সূত্র: আরটি ইন্টারন্যাশনাল, টাইমস অব ইসরায়েল