
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মাসে থানাগুলোতে প্রায় আড়াই হাজার অপমৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত হয়, যার মধ্যে দৈনিক গড়ে দুই থেকে তিনটি লাশ বেওয়ারিশ হয়ে থাকে। নদীতে লাশ ফেলার মাধ্যমে হত্যার আলামত ধ্বংস করা হচ্ছে; পচনের কারণে আঙুলের ছাপ ও অন্যান্য প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
নৌ-পুলিশ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করাচ্ছে যে, অজ্ঞাতনামা লাশের সংখ্যা বৃদ্ধি রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করছে। এছাড়া ট্রেনে দুর্ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের মৃত্যু বেড়েছে; ঢাকা জেলায় গত চার বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন ১,৭৬৩ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব লাশ কেবল উদ্ধার করেই ক্ষান্ত হওয়া যথেষ্ট নয়; পরিচয় শনাক্তকরণ, ময়নাতদন্ত এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।