
দলীয় ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এনসিপি বর্তমানে বিএনপির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আছে। আলোচনায় এনসিপির প্রস্তাব—ঢাকা-১১, রংপুর-৪, ঢাকা-১৮, চাঁদপুর-৫, ঢাকা-৯ ও ঢাকা-১৪ সহ প্রায় ২০টি আসনে সমঝোতা। এ ছাড়া দলটি বিএনপির সম্ভাব্য সরকারে অন্তত তিনটি মন্ত্রী পদ চায়।
বিএনপি সূত্র জানায়, এনসিপির নেতারা শুধু আসন নয়, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও চান। তবে বিএনপি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
এনসিপির নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। যদিও দলটি নিজেকে মধ্যপন্থী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পরিচিত করতে আগ্রহী, তাই ‘ডানপন্থী’ তকমা এড়াতে চায়।
নির্বাচনকে ঘিরে এনসিপি তাদের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছে। মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান করে ১২ সদস্যের এই কমিটি নির্বাচনী প্রস্তুতি, প্রার্থী বাছাই ও প্রচার কার্যক্রম তদারক করবে।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আমাদের নীতিগত দাবির সঙ্গে যেসব দল ঘনিষ্ঠ, তাদের সঙ্গে ঐক্য বা সমঝোতার সম্ভাবনা আমরা বিবেচনায় রাখব।”
তবে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন জানিয়েছেন, এনসিপি এককভাবেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাঁর ভাষায়, “এই মুহূর্তে আমরা জোট নিয়ে ভাবছি না। নির্বাচনী আবহকে সাংগঠনিক গতিশীলতা বাড়াতে কাজে লাগাচ্ছি।”
এনসিপির মূল্যায়নে, নোয়াখালী-৬ ও কুড়িগ্রাম-২ আসনে তাদের অবস্থান তুলনামূলক ভালো। এই দুটি আসনে জামায়াতও সমর্থন দিতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সবশেষে, বিএনপির সঙ্গে বোঝাপড়া চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এনসিপি একক ও যৌথ উভয় পথেই প্রস্তুতি রাখছে।