
আসামিরা হলেন—ফেনী জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং কক্সবাজারের বাসিন্দা আবদুল জলিল।
আজ বুধবার দুপুরে দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের (সংযুক্তি) সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের চট্টগ্রাম উপপরিচালক সুবেল আহমেদ। তিনি জানান, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি নথি ভুয়া করেছেন।
দুদকের মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, আবদুল জলিল কোনো বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ ছাড়াই ২০১১ সালের ২২ জুলাই জাল জন্মনিবন্ধন তৈরি করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের মে মাসে তিনি আবারও ভুয়া স্বাক্ষর ও জাল সনদ ব্যবহার করে জন্মনিবন্ধন নবায়ন করেন। এতে সহায়তা করেন তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে ও নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম।
এই জাল জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে আবদুল জলিল নির্বাচন অফিসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। ফরমে তাঁর মা–বাবা ও স্ত্রী সম্পর্কিত ঘর ফাঁকা রাখা হয় এবং দেওয়া ঠিকানাগুলোয় তাঁর বসবাসের কোনো প্রমাণ মেলেনি। দুদকের ফরেনসিক পরীক্ষায় জন্মনিবন্ধনের স্বাক্ষর ও নিবন্ধকের সই জাল বলে নিশ্চিত হয়েছে।