
ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্ত ছিল রাকিব হোসেনের জাদুকরি পাস। বাঁ প্রান্ত ধরে দ্রুত দৌড়ে তিন ভারতীয় ফুটবলারের চাপ এড়িয়ে বক্সের কোণ থেকে তিনি যে নিখুঁত পাসটি দিয়েছিলেন, দৌড়ে আসা মোরছালিন সেটি জালে পাঠাতেই জাতীয় স্টেডিয়াম বিস্ফোরিত হয় উচ্ছ্বাসে।
রাকিবের চোখে এটি তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অ্যাসিস্ট, “এই পাসটা অনেক দিন মনে থাকবে। গোল করার মতোই আনন্দ পেয়েছি।” জাতীয় দলের হয়ে ইতোমধ্যে ৪৯ ম্যাচে ৬ গোল ও ৫টি অ্যাসিস্ট করা ২০২০ সালে অভিষিক্ত এই উইঙ্গারের জন্য এটি বিশেষ এক মুহূর্ত।
ম্যাচের আগে হোটেলে দলের সবাই মিলে একটাই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন—ভারতকে হারাতে হবে যেকোনোভাবে। রাকিব বলেন, “শেষ পর্যন্ত সবাই কথা রেখেছে। শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করেছে। এটাই সবচেয়ে তৃপ্তির জায়গা।”
দলের মানসিকতা বদলে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন হামজা চৌধুরী। তাঁর প্রশংসা করে রাকিব বলেন, “হামজা শুধু সতীর্থ নন, সত্যিকারের নেতা। ভুল করলেও সাহস জোগান, পাশে থাকেন।”
তবে দুই হলুদ কার্ডের কারণে রাকিব ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না। তবুও তিনি আশাবাদী, বাংলাদেশ জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। এ বছর আট ম্যাচে বাংলাদেশ দুই জয় পেলেও ভারতের বিপক্ষে এই সাফল্য ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে। রাকিবের ভাষায়, “এটা আমাদের নতুন শুরু।”