আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে নির্বাচনী পরিবেশকে উল্লেখ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘নির্বাচনী পরিবেশ মনিটরিং কমিটি’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে তিনি এই প্রস্তাব দেন।
সাকির প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রস্তাবিত কমিটিতে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা থাকবেন। কমিটির উদ্দেশ্য হবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে সংঘাত কমানো। তাঁর মতে, রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। অতীতের অভিজ্ঞতাও এমনটাই প্রমাণ করে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচনী বিধিমালায় সংস্কার আনা হয়েছে।
সংলাপে জোটবদ্ধ দলের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতীকে অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেন সাকি। পাশাপাশি ব্যালট পেপারে প্রতীক সহজে শনাক্তযোগ্য করার পরামর্শ দেন। তাঁর বক্তব্য, নতুন দলগুলোর জন্য স্পষ্ট প্রতীক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফেস্টুন–বিলবোর্ড ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, শহরে ইতিমধ্যে হাজারো পোস্টার–বিলবোর্ড টাঙানো হয়েছে, যা কমিশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তাই প্রার্থীদের জন্য ন্যায্য প্রচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে।
এ ছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে আরও কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়—গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের জন্য আলাদা বুথ ও গণনাপদ্ধতি রাখা, ভোটকেন্দ্রে গণমাধ্যমের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি মোবাইল ফাইন্যান্সিং লেনদেনের তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা।
