মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মনের ভাই আব্দুল্লাহ আল হুসাইন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার জমা দেওয়া অভিযোগে তিনি দাবি করেন, ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ২০১৭ সালে গুমের শিকার হন।
চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে পৃথকভাবে আজ ১০টি গুমের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, যিনি র্যাবে দায়িত্ব পালন করতেন। অভিযোগকারী ১০ জন হলেন—আব্দুল্লাহ আল হুসাইন, ওবায়দুল হক, মো. রায়হান, ওবায়দুর রহমান, আল আমিন, আবু জাফর, শামীম মিয়া, লোকমান মিয়া, হাবিবুর রহমান ও বাহাউদ্দিন।
গুমের লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিং করেন গুমের শিকার ব্যক্তিদের সংগঠন ভয়েস অব এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ার্ড পারসনসের (ভয়েড) সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, মোজাম্মেল হুসাইনকে গুম করে অভিজিৎ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছিল। গুমের সময় তাকে শারীরিক নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল হুসাইন জানান, তার ভাই ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ৫০ দিন গুমে ছিলেন। পরে একটি মামলায় সম্পৃক্ততা দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি আরও দাবি করেন, মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে এসব ঘটেছে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে লেখালেখি করার কারণে।
ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় মোজাম্মেল হুসাইনসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আব্দুল্লাহ আল হুসাইন বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তারা আপিল করেছেন।
এদিন ট্রাইব্যুনালে আরও তিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রামপুরা, আশুলিয়া ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিভিন্ন তদন্ত কর্মকর্তা জবানবন্দি দিয়েছেন। এই মামলাগুলিতে গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামি রয়েছেন।
