গত পাঁচ দিন ধরে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। নতুন দরে এখন সব দোকানে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। তেলের সঙ্গে বাড়তি রয়েছে পুরানো পেঁয়াজের দাম। তবে বাজারে ডিমের দাম কমেছে, এবং বেশির ভাগ শীতকালীন সবজির দামও কমতির দিকে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের বিভিন্ন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। বিক্রেতারা আশা করছেন, চলতি মাসের শেষ দিকে সবজির দাম আরও কমবে।
ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো ৭ ডিসেম্বর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা বৃদ্ধি করেছে। এখন এক লিটার বোতলের দাম ১৯৫ টাকা, আর ৫ লিটারের বোতলের দাম ৯৫৫ টাকা। সব দোকানেই নতুন দর অনুযায়ী তেল বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের বাজারে দাম কিছুটা বাড়তি। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজি ১০০–১১০ টাকা, পুরানো পেঁয়াজ কেজি ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে নতুন পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতকালীন আলুও বাজারে এসেছে। নতুন সাদা আলু কেজি ৪০–৫০ টাকা, নতুন লাল আলু ৭০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে। পুরানো আলু কেজি ২০–২৫ টাকায়।
ডিমের দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে কমেছে। ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম এখন ১২০ টাকা, আগে ১৪০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৭০–৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০–৫০ টাকা, লাউ ৫০–৬০ টাকা। বেগুন ৬০–১০০ টাকা, মুলা ৩০–৪০ টাকা, শালগম ৪০–৬০ টাকা, শিম ৪০–৫০ টাকা এবং দেশি টমেটো ১১০–১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
