ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আর্থিক প্রভাব ও ঐশ্বর্যের প্রতীক: আরব বিশ্বের শীর্ষ ধনী পরিবারের বিশ্লেষণ

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Dec 18, 2025 ইং
আর্থিক প্রভাব ও ঐশ্বর্যের প্রতীক: আরব বিশ্বের শীর্ষ ধনী পরিবারের বিশ্লেষণ ছবির ক্যাপশন: আর্থিক প্রভাব ও ঐশ্বর্যের প্রতীক: আরব বিশ্বের শীর্ষ ধনী পরিবারের বিশ্লেষণ
ad728

বিশ্বের সবচেয়ে বিত্তশালী পরিবারগুলোর মধ্যে অনেকের আবাসস্থল আরব বিশ্বে। বিশাল সম্পদ, রাজকীয় জীবনধারা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে এই পরিবারগুলো আজ বিশ্বজুড়ে ক্ষমতা ও প্রভাবের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। তবে এসব পরিবারের সম্পদ কেবল আধুনিক তেল ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল নয়; বরং শত বছরের বাণিজ্য, উদ্যোক্তা মনোভাব এবং উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে এই অর্থনৈতিক শক্তি তৈরি হয়েছে।

ব্লুমবার্গের ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ২৫টি ধনী পরিবার গত বছরের তুলনায় সম্মিলিতভাবে ৩৫,৮০৭ কোটি মার্কিন ডলার বেশি সম্পদের মালিক হয়েছে। বর্তমানে তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে। শেয়ার বাজারের চাঙাভাব এবং ধাতু ও পোষা প্রাণীর খাবারের মতো পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এই বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।

আরব বিশ্বের শীর্ষ তিন ধনী পরিবার

১. আল-নাহিয়ান পরিবার (সংযুক্ত আরব আমিরাত)
আবুধাবির শাসক পরিবার আল-নাহিয়ান বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী পরিবার। তাদের নিট সম্পদ ৩৩,৫০৯ কোটি ডলার। ইউএইর প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান এই পরিবারে নেতৃত্ব দেন। তেলের খনি আবিষ্কারের আগেও পরিবারটি এই অঞ্চল শাসন করছিল। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন ব্যক্তিগত এবং রাষ্ট্রীয় মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ তদারকি করেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছেন।

২. আল-সৌদ পরিবার (সৌদি আরব)
সৌদি আরবের শাসক পরিবার আল-সৌদ ব্লুমবার্গের তালিকায় তৃতীয় স্থানে। তাদের নিট সম্পদ ২১,৩০৬ কোটি ডলার। রাজবংশের প্রায় ১৫ হাজার সদস্য রয়েছে এবং তাদের প্রভাবাধীন সম্পদের পরিমাণ আরও অনেক বেশি। রাজপরিবার সরকারি চুক্তি, জমি ব্যবসা এবং সৌদি আরামকোকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে বিপুল আয় করে। সরকারি বিনিয়োগ তহবিল (পিআইএফ) প্রায় এক লাখ কোটি ডলারের সম্পদ পরিচালনা করছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ব্যক্তিগত সম্পদ ১০০ কোটি ডলারের বেশি।

৩. আল-থানি পরিবার (কাতার)
কাতার শাসনকারী আল-থানি পরিবার ব্লুমবার্গের তালিকায় চতুর্থ স্থানে। তাদের নিট সম্পদ ১৯,০৯৫ কোটি ডলার। ১৯৪০ সালের দিকে তেল আবিষ্কৃত হলেও কাতারের বিশাল গ্যাস মজুত অর্থনীতিকে বদলে দিয়েছে এবং রাজপরিবারকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে নিয়ে এসেছে। আল-থানি পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে আছেন এবং হোটেল, বিমা ও নির্মাণ খাতে বিশাল ব্যবসা পরিচালনা করেন। বিদেশেও তাদের লন্ডনের মেফেয়ারের বিলাসবহুল সম্পত্তি, ঘোড়দৌড়ের খামার, বেসরকারি ব্যাংক এবং ফ্যাশন হাউস ভ্যালেন্টিনোসহ প্রচুর মূল্যবান সম্পদ রয়েছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jatio Khobor

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
টেকনাফ থেকে হেঁটে তেঁতুলিয়া যাত্রা দুই তরুণের, দিচ্ছেন থ্যাল

টেকনাফ থেকে হেঁটে তেঁতুলিয়া যাত্রা দুই তরুণের, দিচ্ছেন থ্যাল