দেশের ৩২ জন শিক্ষক, তথ্যপ্রযুক্তি–বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তা বিদেশি ঋণের অপচয় রোধ, কার্যকর অটোমেশন এবং স্থানীয় সফটওয়্যার শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে সিটা প্রকল্প পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, প্রকল্পটি বর্তমানে বিদেশি সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং প্রশিক্ষণে অতিরিক্ত নির্ভরশীল।
স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি (সিটা) বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশের পাঁচটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তবে প্রকল্পে অহেতুক বিদেশভ্রমণ, অপ্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার কেনা ও ব্যর্থ ভ্যাট অটোমেশন (এইভিএএস) পুনরায় বরাদ্দের মতো অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাবিত ৩,০০০ কোটি টাকার প্রকল্পকে বিদেশনির্ভর ও অপরিণামদর্শী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, দেশে পর্যাপ্ত সক্ষমতা থাকায় এসব কাজ দেশীয় কোম্পানি ও সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব। সঠিক ব্যবস্থাপনায় ৫০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার তৈরি করে ৪,০০০ প্রকৌশলীর জন্য ৫ বছরের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা যেত।
বিবৃতিতে সই করেছেন বুয়েটের অধ্যাপক মোস্তফা আকবর, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক অনিন্দ্য ইকবাল, রিফাত শাহরিয়ার, মাইক্রোসফট পার্টনার সুমন নাথ, সোনালী ব্যাংকের সিআইটিও রেজওয়ান আল বখতিয়ার, ব্রেইন স্টেশন-২৩-এর সিইও রাইসুল কবির, বারিকই টেকনোলজিস লিমিটেডের সিইও আল আমিন সরকারসহ আরও অনেকে। তারা দেশের স্বার্থ ও সফটওয়্যার শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্পটি নতুনভাবে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
Jatio Khobor