অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ এখন এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের পথে রয়েছে। দেশের তরুণ নেতৃত্বের উদ্যোগে শুরু হওয়া পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে।
বুধবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কানাডার সাত সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান।
সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদার, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান, এবং বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রস্তুতির অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন,
“আপনারা এমন এক সময়ে বাংলাদেশে এসেছেন, যখন দেশটি তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা এমন এক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা পুরো জাতির জন্য এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।”
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কানাডার দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
“রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পেরিয়ে গেছে। প্রায় ১২ লাখ মানুষ এখানে আশ্রিত। হাজারো শিশু জন্ম নিচ্ছে, বড় হচ্ছে, অথচ তারা জানে না তাদের ভবিষ্যৎ কী। আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনই একমাত্র টেকসই সমাধান।”
সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান বলেন, কানাডা রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে আছে এবং থাকবে। তিনি জানান, “আমি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আবারও বক্তব্য রাখব এবং তাদের নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাব।”
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুতে আপনার অব্যাহত প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। বিশ্বের উচিত শান্তি ও মানবাধিকারের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।”
প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন—সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ, সামির জুবেরি (বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মন্ত্রীর সংসদীয় সচিব), মাহমুদা খান (এইচসিআই-এর গ্লোবাল সিইও), মাসুম মাহবুব (এইচসিইউএসএ-এর সিইও), আহমদ আতিয়া (জেস্টাল্ট কমিউনিকেশনসের সিইও) এবং উসামা খান (ইসলামিক রিলিফ কানাডার সিইও)।
Jatio Khobor