স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টও ফেরত দিয়েছেন।
গত বছর অক্টোবর মাসে সরকার ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা, ২০২৪’ জারি করে। এই নীতিমালার অধীনে উপদেষ্টাদের স্ত্রী বা স্বামীর পৃথক আয় থাকলে তার বিবরণীও জমা দিতে হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি আজই সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রায় অর্ধ ঘণ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে তার সময়ে নেয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এক বছরের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক কথা বলা যায় না। দায়িত্ব নেওয়ার পরের দেড় বছরে বিগত ২৫ বছরে যা শিখেছি তার চেয়ে বেশি শিখেছি।”
উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকার সময়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা আঞ্চলিক পক্ষপাত এবং অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কেও তিনি মন্তব্য করেন। প্রথম আলোতে তার এলাকার একটি প্রকল্প নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে তিনি ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন এবং জানান, প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়নি। সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের অনিয়মের বিষয়ে দুদকের তদন্তে সহযোগিতা করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেক সংবাদমাধ্যম বাকস্বাধীনতার অপপ্রয়োগ করেছে। তবে বাকস্বাধীনতা থাকবে এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তবে কোন দল থেকে তিনি নির্বাচন করবেন তা সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেননি। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
Jatio Khobor