ব্যবসায়ীরা সরকারকে অবহিত না করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোতে কোনো আইনগত ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। উপদেষ্টা বলেন, আধা ঘণ্টা আগে তিনি বিষয়টি জেনেছেন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
তিনি জানান, সরকার গতকাল যে দামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভোজ্যতেল কিনেছে, আজ বাজারে তার চেয়ে লিটারপ্রতি ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ বৃদ্ধিকে তিনি অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি পূর্বঘোষণা ছাড়াই সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৯ টাকা বাড়িয়েছে আমদানিকারক এবং বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, মূল্যবৃদ্ধিতে মন্ত্রণালয় বা ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা তাদের বক্তব্য মানতে রাজি নন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ থাকলে আলোচনা করা যাবে। আমরা সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে চাই, বিঘ্নিত করতে চাই না।”
রোজার প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি জানান, প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ঋণপত্র আগের চেয়ে বেশি খোলা হচ্ছে, ফলে সরবরাহে সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যেই কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে—চিনি, ডাল, ডিম এবং ছোলার দাম কমছে বলেও জানান তিনি।
ক্যাবের মতামত: আইন লঙ্ঘন হয়েছে
বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের খসড়া নিয়ে বৈঠকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো আইন লঙ্ঘন। তিনি বলেন, আইনে স্পষ্টভাবে মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে পরিশোধন কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার বিধানও আছে।
তিনি আরও বলেন, বাজার তদারকিতে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। ভোক্তার স্বার্থে তদারকি ও আইন প্রয়োগ জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।
Jatio Khobor