ঢাকা | বঙ্গাব্দ

দেশে সোনার দাম কীভাবে ঠিক হয়, কেন ভারত ও দুবাইয়ের চেয়ে দাম বেশি

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 23, 2025 ইং
দেশে সোনার দাম কীভাবে ঠিক হয়, কেন ভারত ও দুবাইয়ের চেয়ে দাম বেশি ছবির ক্যাপশন: সোনা
ad728

সোনার দাম বর্তমানে দুই লাখ টাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে সোয়া দুই লাখের দিকে পৌঁছেছে। বাজারে এমন পর্যায়ে সোনার মূল্য ছয় মাস আগে কেউ কল্পনাও করতেন না। এক রতি সোনার দাম এখন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬৪ টাকা।

তবে বাংলাদেশে সোনার দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্বচ্ছ নয়। জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে বৈধভাবে সোনা আমদানি না হওয়াই মূল কারণ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ২২ ক্যারেটের ভরির দাম গত বুধবার ৫ হাজার ২৬৯ দিরহাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ভারতের গয়নার দাম ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। বাংলাদেশে জুয়েলার্স সমিতির নির্ধারিত দাম ভ্যাট ও মজুরি ছাড়া ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা, যা দুবাইয়ের তুলনায় ৪২ হাজার বেশি এবং ভারতের তুলনায় ২১ হাজার বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার বৈশ্বিক বাজারে দাম কমার কারণে দেশে ২২ ক্যারেটের সোনার ভরির দাম ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমে প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার টাকা হয়েছে।

বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে সোনা আমদানি খুব সীমিত। যাত্রীদের ব্যাগেজের মাধ্যমে সোনা আসে। একজন যাত্রী ভরিপ্রতি ৫ হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে ১০ ভরি (১১৭ গ্রাম) সোনা আনতে পারেন। দেশে বৈধভাবে আমদানি না হওয়ায় বেশিরভাগ সোনা অবৈধ পথে আসে, এবং চাহিদার বড় অংশ পুরোনো সোনা দিয়ে পূরণ হয়।

সোনার দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। পাইকারি বাজার, বিশেষ করে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে দাম বিবেচনা করে তারা সোনার মূল্যে পরিবর্তন আনে। এরপর ৫ হাজার টাকা মুনাফা যুক্ত করে দোকানে বিক্রির জন্য চূড়ান্ত দাম নির্ধারণ করা হয়। ৫ শতাংশ ভ্যাট ও অলংকার তৈরির মজুরি যোগ করলে ক্রেতার চূড়ান্ত দাম হয়।

দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ না থাকায় সোনার দাম বৈশ্বিক দরের সঙ্গে সরাসরি সমন্বয় করা যায় না। জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা মনে করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সোনা কেনাবেচার ব্যবস্থা থাকলে দাম বৈশ্বিক বাজারের কাছাকাছি থাকবে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে সোনার দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ এবং প্রতিযোগিতামূলক নয়। দাম নির্ধারণে সোনার মজুত, বেচাকেনা এবং বৈধ আমদানি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয় না। তিনি পরামর্শ দেন, প্রতিযোগিতা কমিশন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সোনার মূল্য নির্ধারণ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে।

সোনার বার্ষিক চাহিদা দেশে ২০ থেকে ৪০ টন, যার ১০ শতাংশ পুরোনো অলংকার থেকে আসে এবং বাকি আসে যাত্রীদের ব্যাগেজে।

সংক্ষেপে:

  • এক রতি সোনার দাম: ২,২৬৪ টাকা

  • ২২ ক্যারেট সোনার ভরির দাম: প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার টাকা (২০২৫ সালের অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত)

  • দাম নির্ধারণকারী: বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)

  • দাম কম-বাড়ির কারণ: বৈশ্বিক বাজার, পাইকারি বাজার, মুনাফা ও ভ্যাট

  • বৈধ আমদানি সীমিত, বড় অংশ আসে যাত্রী ব্যাগেজ ও পুরোনো সোনা থেকে


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jatio Khobor

কমেন্ট বক্স
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’