রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আজ সোমবার বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ড শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, তাঁকে নির্দিষ্ট কোনো দলের ‘গোলাম’ বানাতে চাওয়ার চেষ্টা অন্যদের সমস্যা।
মামলায় পুলিশ আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান রিমান্ড আবেদনটি করেন। বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে আনিস আলমগীরকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।
আদালতে বক্তব্য দিতে গিয়ে আনিস আলমগীর বলেন, তিনি একজন সাংবাদিক এবং দুই যুগ ধরে ক্ষমতাকে প্রশ্ন করে আসছেন। কারও কাছে নতজানু হওয়া তাঁর কাজ নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ফেসবুকে দেওয়া তাঁর সব বক্তব্য প্রকাশ্য, অপ্রকাশিত কিছু নেই। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাড়িতে হামলার প্রসঙ্গসহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বিশ্লেষণমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে তাঁর কোনো ভুল হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না এবং কারও সঙ্গে তাঁর কোনো যোগসূত্র নেই বলেও দাবি করেন। এ সময় তিনি বলেন, ড. ইউনূস চাইলে সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—এ কথাও তিনি আদালতে উল্লেখ করেন।
এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর আনিস আলমগীরকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। তিনি জানান, ধানমন্ডি এলাকার একটি জিম থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাত আটটার দিকে ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে তাঁকে জানানো হয়, ডিবিপ্রধান তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন।
আজ সোমবার বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিবিপ্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে জানা যায়, ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ গতকাল রাত দুইটার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন। মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীর ছাড়াও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
Jatio Khobor