ঢাকার কুড়িল থেকে সদরঘাটের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। এক বিকেলে গুগল ম্যাপ দেখাচ্ছিল, যানজট থাকলে এই পথটি গাড়িতে পাড়ি দিতে ১ ঘণ্টা ২৪ মিনিট লাগবে, আর যানজট না থাকলে মাত্র ৩১ মিনিটেই পৌঁছানো সম্ভব। কিন্তু এক কর্মদিবসে বাসে এই পথ পাড়ি দিতে কত সময় লাগে, তা নিজে অনুভব করার সুযোগ পেলাম।
৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার; সকাল ৮টায় কুড়িল থেকে চাপলাম বাসে। ভিক্টর ক্ল্যাসিক নামে বাসটিতে ওঠার পর মনে হলো, প্রাচীন কোনো যানবাহনে উঠে পড়েছি। যাত্রীসেবা দিতে দিতে গাড়ির অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ভেতরে পেছনের দিকে জানালার পাশে একটি ফাঁকা আসন পেলাম, বসতেই হাঁটু ঠেকে গেল সামনের আসনের সঙ্গে। শেষে জড়োসড়ো অবস্থায় বসতে হলো।
সড়ক পরিবহন আইনের অনুযায়ী রাজধানীতে মিনিবাসের আসন সংখ্যা চালকেরসহ ৩১টি হওয়া উচিত। কিন্তু এই বাসে আসনের সংখ্যা ছিল ৩৯টি। ফলে যাত্রীদের জড়োসড়ো অবস্থায় বসতে হচ্ছে। এর বাইরে দাঁড়ানো যাত্রীরা এবং বাসের প্রবেশমুখেও কর্মস্থলের পথে যাচ্ছিল মানুষদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়।
ঢাকার অধিকাংশ বাসের মতোই এ বাসের বাহ্যিক রঙচটা, ভেতরের অবস্থা ও পরিচ্ছন্নতা সন্তোষজনক নয়। আসনের কভারগুলো ময়লা ও চিটচিটে তেল-মাখা। ‘লক্কড়ঝক্কড়’ এই বাস নিয়ে নানা সময় আলোচনা হয়েছে, কিন্তু চিত্র পরিবর্তন হয়নি। পুরনো গাড়িগুলোর মান উন্নত না হওয়ার পেছনে মালিকদের উদাসীনতা এবং সরকারি তদারকির অভাবকে মূল কারণ হিসেবে দেখা হয়।
Jatio Khobor