জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি। আগামীকাল সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম (অমিত) জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারেক রহমান প্রতিটি বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করছেন। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই খুলনা বিভাগের নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দলের পরবর্তী কর্মপন্থা ও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ফোন ও খুদে বার্তার মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন, বাকিরা আজ রাতের মধ্যে রওনা হবেন।
খুলনা জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় অফিস থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছি, আজ ঢাকায় যাচ্ছি। ১৯৮৪ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে আছি। দলের দুঃসময়ে আইনজীবী হিসেবে বিনা পারিশ্রমিকে মামলা লড়েছি, কারাবরণও করেছি। আগে প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে হলেও এখন তুলনামূলক স্বস্তির মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা সবাই তাঁর পক্ষে কাজ করব।’
কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনটি ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট গঠনের সময় জামায়াতে ইসলামীর জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে ওই আসনে জামায়াতের প্রভাব ছিল প্রবল। তবে এবার বিএনপি সেই আধিপত্য ভেঙে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে মাঠে নেমেছে।
স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মতে, খুলনা-৬ আসনে তৃণমূলে নতুন উদ্দীপনা ও জনসমর্থন তৈরি হয়েছে। অতীতে জামায়াতের প্রার্থী দুবার জয়ী হলেও এবার বিএনপি সংগঠন ও গণসংযোগের জোরে অবস্থান মজবুত করছে। তাঁদের বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এই আসনে। সে ক্ষেত্রে দলের কাছে ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন পেলে জয় পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
Jatio Khobor