অস্কারজয়ী হলিউড তারকা জোডি ফস্টারের আজ জন্মদিন। চার দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয়, নির্মাণ ও প্রযোজনায় নিজের শক্ত অবস্থান ধরে রাখা এই অভিনত্রী
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬২ সালের ১৯ নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। প্রতিভা, অধ্যবসায় ও ক্যারিয়ারের বৈচিত্র্যময় নির্বাচন তাঁকে বিশ্ব চলচ্চিত্রে এক অনন্য মর্যাদায় পৌঁছে দিয়েছে।
শৈশব ছিল তাঁর জন্য কঠিন। বাবা–মায়ের বিচ্ছেদের পর মায়ের তত্ত্বাবধানে বড় হওয়া ফস্টার অভিনয় শুরু করেন মাত্র ৩ বছর বয়সে। বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে শুরু হওয়া পথচলায় ১২ বছর বয়সে মার্টিন স্করসেজির ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’–এ অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন। শিশুশিল্পী থেকে বলিষ্ঠ নায়িকা হয়ে ওঠার পথটা ছিল নানা চাপ, মানসিক সংকট ও আত্মপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ভরা—যা তিনি নিজেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি দুবার অস্কার জিতেছেন—‘দ্য অ্যাকিউজড’ এবং ‘দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস’ চলচ্চিত্রের জন্য। বিশেষ করে ক্ল্যারিস স্টার্লিং চরিত্রটি তাঁকে বিশ্ব সিনেমার অন্যতম শক্তিশালী নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়।
ক্যারিয়ার যতই উজ্জ্বল হোক, ব্যক্তিগত জীবন সবসময় আলোচনার কেন্দ্রে ছিল না। সিডনি বার্নার্ডের সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটে ২০০৮ সালে, যা ২০১৩ সালের গোল্ডেন গ্লোব মঞ্চে ফস্টার প্রথমবার প্রকাশ্যে আনেন। পরে আলোকচিত্রী আলেকজান্ড্রা হেডিসনকে বিয়ে করে নতুন করে খবরের শিরোনাম হন তিনি।
পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অগ্রগামী। ১৯৮৪ সালে ‘দ্য হোটেল নিউ হ্যাম্পশায়ার’–এ পেয়েছিলেন ৫ লাখ ডলার। মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে তাঁর পারিশ্রমিক ৪৫ লাখ থেকে বেড়ে ৫০ লাখ ডলারে পৌঁছায়। পরবর্তী পাঁচ বছরে তা আরও কয়েক কোটি ডলার বাড়ে। ১৯৯৯ সালে ‘আন্না অ্যান্ড দ্য কিং’–এ তিনি নেন দেড় কোটি ডলার—যা সে সময়ের অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।
৬২ বছর বয়সী জোডি ফস্টার মনে করেন, খ্যাতি বা অর্থ নয়, নিজের প্রতি সৎ থাকা এবং সৃজনশীলতাই জীবনের প্রকৃত সুখ এনে দেয়।
Jatio Khobor