ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ওসমান হাদির ওপর হামলা বৃহৎ চক্রান্তের অংশ: মির্জা আব্বাস

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Dec 13, 2025 ইং
ওসমান হাদির ওপর হামলা বৃহৎ চক্রান্তের অংশ: মির্জা আব্বাস ছবির ক্যাপশন: ওসমান হাদির ওপর হামলা বৃহৎ চক্রান্তের অংশ: মির্জা আব্বাস
ad728

নির্বাচনের আগে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছে না বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এটি একটি বৃহৎ চক্রান্তের ক্ষুদ্র অংশ এবং সামনে আরও ষড়যন্ত্র প্রকাশ পেতে পারে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ এবং ঢাকায় ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগে চট্টগ্রামে এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলা হয়েছে, এবার ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার মাধ্যমে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর আঘাত হানা হয়েছে। তিনি বলেন, এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।

হাদির ওপর গুলির ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে তিনি বলেন, দুপুর সোয়া দুইটার দিকে গুলি চালানোর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়, যা স্পষ্ট করে যে এটি ছিল সুসংগঠিত পরিকল্পনা।

উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন রেখে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকার সড়কে প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছিলেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ।

ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস নিজেও। গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক স্লোগান দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, যারা এসব স্লোগান দিয়েছে, তারা হাদির সমর্থক নয়; বরং একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী। তাঁর অভিযোগ, তারা সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা ও মব সৃষ্টি করেছিল।

সমাবেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ওসমান হাদি সব সময় দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেন, মির্জা আব্বাসের সঙ্গে হাদির কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। হামলার ঘটনাকে সুপরিকল্পিত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, শনাক্ত একজন হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতা এবং এই হামলার পেছনে একটি সংগঠিত নকশা রয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর হোসেন রবিনের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

সমাবেশ শেষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

meta keyword

নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jatio Khobor

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন

নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন